নিষেধাজ্ঞার মুখে নেইমার!

নিষেধাজ্ঞার মুখে নেইমার!

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : টানা চারবার শেষ আট ও টানা তিনবার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়ে অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫০তম বর্ষে এসে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফাইনালে পৌঁছানোর পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, সেই নেইমারই নাকি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন!

বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে লিসবনে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্স আর নেইমার জুনিয়রের অসাধারণ নৌপুণ্যে পিএসজি জেতে ৩-০ গোলে। শেষ আটে আটালান্টার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত ফেরার পর শেষ চারে লিপজিগকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে নাম লেখায় পিইএসজি।

এই ম্যাচে জয়ের পর জার্সি বদল করেন লিপজিগের ফুটবলার মার্সেল হ্যালসটেনবার্গের সঙ্গে। চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু করার আগে কিছু ‘কোভিড-১৯ নিয়ম-নীতির’ কথা জানিয়ে দিয়েছে উয়েফা। তার মধ্যে অন্যতম হলোম্যাচ শেষে জার্সি অদলবদল করা যাবে না। কিন্তু সেই ভুলটিই করে বসেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।

ম্যাচ শেষে হ্যালসটেনবার্গে জড়িয়ে ধরে নেইমার তার জার্সি খুলে দেন। পরে হ্যালসটেনও জার্সি উপহার দেন নেইমারকে। কিন্তু উয়েফার দেওয়া করোনা সুরক্ষা নীতি অনুযায়ী, জার্সি বদল করলে তাকে ১২ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এমনকি এক ম্যাচ নিষিদ্ধও হতে পারেন।

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের সময় ডি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকে লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে লিপজিগের জালে প্রথমবারের মতো বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কুইনহোস। এই গোলের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি পিএসজিকে। নেইমার-মারিয়া-এমবাপ্পে ত্রয়ী মিলে আক্রমণের পসরা সাজান লিপজিগের ডি-বক্সে। তবে জার্মান ক্লাব লিপজিগও কাউন্টার অ্যাটাকে তটস্থ রেখেছিল পিএসজির রক্ষণভাগের খেলোয়ড়াদের।

প্রথম গোলে সহায়তার পর দ্বিতীয় গোল সরাসরি নিজেই দেন ডি মারিয়া। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নেইমারের শটে দারুণ দক্ষতায় শৈল্পিক শটে লিপজিগের জালে বল জড়াতে ভুল করেননি ডি মারিয়া। বিরতি থেকে ফিরে এসে আবারও এই আর্জেন্টাই। এবার ৫৬ মিনিটের সময় মারিয়া হুয়ান বেরনেটকে দিয়ে গোল করান। এই গোলের মাধ্যমে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির ফাইনাল। শেষ পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি নেইমাররা। ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিওনের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে রোববার (২৩ আগস্ট) স্বপ্নের ফাইনালে লড়বেন নেইমাররা। প্রথমবার ফাইনালে উঠে নেইমাররা কী ট্রফি ছুঁতে পারবেন নাকি অধরাই থেকে যাবে তা বলে দেবে সময়।

/এএ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *