১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নয় বছর আগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে পৃথক তিন ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, ঈসমাইল হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ও মো. বাচ্চু।
দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ৪২৭ ধারায় তাদের ছয় মাস করে সশ্রম এবং ৩৫৩ ধারায় আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘দণ্ডিত চার আসামি জামিনে ছিলেন। এদিন তারা আদালতে না এসে সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ’
খালাস পাওয়া ৩১ আসামি হলেন- কামরুজ্জামান ওরফে স্বপন, আ. মান্নান, শরীফুল, দীপন কুমার দাস ওরফে টাইগার মেম্বার, হারুন অর রশিদ, রেফায়েত উল্লাহ ওরফে রেফতুল আলম, এমদাদুল হক এমদাদ, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আ. মতিন, সৈয়দ আসিফ, আফজাল, রুবেল হোসেন, আবুল হোসেন, আবিদ হোসেন তুষার, অলিউর রহমান দিপু, এ জি এম শাসসুল হক, বদরুজ্জামান, মেজবা উদ্দিন, কাজল দাস, মনু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাসুদ, নুরুল আমিন, জোনায়েত হোসেন, শাহজাহান মোল্লা, হারুন অর রশিদ, মতিউর রহমান, কামাল হোসেন ও মাজহারুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেন আসামিরা। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।