পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের উদ্বোধন আজ মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদনও দেবেন তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রাথমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হওয়ার পর ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় বে টার্মিনালের চূড়ান্ত প্ল্যান আটকে ছিল প্রায় ছয় বছর। অবশেষে সাগরতীরে বহুল আলোচিত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ বে টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর বিনিয়োগ হবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড। এ ছাড়া ব্রেক ওয়াটার তৈরির প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক।
চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বে টার্মিনালকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে। এর একটি পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটি ভাগাভাগি করবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড। এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি জেটিতে থাকছে ডিপি ওয়ার্ল্ড ও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য থাকবে এক হাজার ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মাল্টিপারপাস জেটি। এর বাইরে আবুধাবি পোর্টও এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উদ্বোধনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। এত দিন দেশি নাকি বিদেশি অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের ‘রেড সি গেটওয়ে’ নামক প্রতিষ্ঠানকে।
এই টার্মিনাল চালু হলে ১০.৫ মিটার গভীরতার (পানির নিচে জাহাজের অংশ) জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করবে চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি স্বপ্নের প্রকল্প পতেঙ্গা টার্মিনালের উদ্বোধন ও বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দুই প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। অনেক জটিলতার পর সেগুলো আলোর মুখ দেখছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’