৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে তামাক শিল্প : ডব্লিউএইচও

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধূমপান শুধু মানুষের প্রাণহানি ঘটায় না, পরিবেশের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত “টোব্যাকো: পয়জনিং আওয়ার প্ল্যানেট” নামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের কারণে প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষ মারা যায়।

এছাড়া, তামাক উৎপাদন ও সেবনের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৬০০ মিলিয়ন গাছ, ২ লাখ হেক্টর জমি এবং ২২ বিলিয়ন টন পানির ক্ষতি হচ্ছে।

তামাকের ব্যবহার ও উৎপাদন বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরিতেও প্রভাব ফেলছে, যা বছরে প্রায় ৮৪ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করে।

“তামাকের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পরিবহন থেকে শিল্পের কার্বন পদচিহ্ন প্রতি বছর বাণিজ্যিক এয়ারলাইন শিল্প নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর এক-পঞ্চমাংশের সমতুল্য, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখে,” বলা হয় প্রতিবেদনে।

প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন সিগারেট ফিল্টার যাতে অপরিশোধনযোগ্য মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে যেগুলো শেষ পর্যন্ত সমুদ্র, নদী এবং সৈকতে গিয়ে জমা হয়, ডব্লুউএইচও-এর স্বাস্থ্য প্রচারের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেন।

তামাকজাত দ্রব্য বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে জঞ্জাল এবং এতে সাত হাজারেরও বেশি বিষাক্ত রাসায়নিক রয়েছে যা পরিবেশ ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

ক্রেচ বলেন, “বাতিল তামাকজাত দ্রব্য পরিষ্কার করার খরচ প্রায় সবসময় করদাতাদের ওপর পড়ে। জার্মানি তামাক বর্জ্য পরিষ্কার করতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে।”

প্রতিবেদনে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে নীতিনির্ধারকদের সিগারেট ফিল্টার নিষিদ্ধকরণের কথা বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও তামাকচাষিদের কাজ এবং জীবনের পুরো সময়জুড়ে ক্ষতিকারক নির্গমনের সংস্পর্শে আসার দুর্দশার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্রেচ বলেন, “কিছু কৃষক ত্বকের মাধ্যমে শোষিত নিকোটিনের মাধ্যমেও বিষের সংস্পর্শে এসেছেন।”

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com