পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগান

পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরাজি শুধু কার্বন নিঃসরণ কমায় না; শব্দদূষণও রোধ করে। এক হেক্টর পরিমাণ মাঝারি বন ১০ ডেসিবল শব্দ হ্রাস করতে পারে। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বনের জমি পাইকারি হারে ব্যবহৃত হচ্ছে।

অনেক প্রাণী গাছ খেয়ে বেঁচে থাকে; আবার গাছই তাদের একমাত্র আবাসস্থল। অনেক বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এসব প্রাণী আবাসহীন হয়ে পড়ছে। ফলে এসব প্রাণী দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন উজাড়ের দরুন গাছগাছালি, বিভিন্ন প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

মনে রাখতে হবে, গাছ অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে পরিবেশ যেমন নির্মল রাখে, তেমনি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে প্রাণীর বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু জনসংখ্যার চাপে প্রতিনিয়ত গাছ কাটা হচ্ছে। এতে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, আবহাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বনভূমি নষ্ট করার কারণে বৃষ্টিও হচ্ছে না। বৃষ্টির অভাবে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে গাছ কাটার ফলে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ ও পশুপাখি আজ বিলুপ্তির পথে। অতি সাধারণ প্রাণী যেমন শিয়াল, বেজি, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, বানর, হনুমান, চিল, শকুন, ডাহুক, বাবুই, চড়ুইসহ অনেক পশুপাখি আগের মতো দেখা যায় না।

সুতরাং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছ কাটা বন্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ, কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে ঢাকাসহ বড় বড় শহরে বর্তমানে গাছপালার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় রাস্তার দু’পাশে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষা করা অনেকটা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *