পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সাগরে লঘুচাপের কারনে দুয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতাও বেড়েছে। এরই মধ্যে সমুদ্রবন্দরেও ছিল তিন নম্বর সতর্কতা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বর্ষার শুরুতে অধিকাংশ এলাকায় বর্ষণের আভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় ভারি বর্ষণ হতে পারে দু’দিন। এসময় সেখানে দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যাও।
সোমবার (১৪ জুন) জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) দেশের সর্বত্র সক্রিয় রয়েছে বলেই বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কুতুবদিয়ায় ৪৪ মিলিমিটার। এদিন ঢাকায় রেকর্ড হয় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে উপকলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে এ অঞ্চলের নদীগুলোয় সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
বর্ষাকে বরণ করতে প্রতি বছর নগরে নানা আয়োজন থাকলেও মহামারীর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও শিল্পকলায় এবার বিশেষ কোনো উৎসব নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পকলায় অনুমতি না পেয়ে ‘বর্ষা উৎসব’ উদাপন পরিষদ সীমিত পরিসরে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে উৎসবের আয়োজন করেছে।