২০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি ও দারুল উলুম করাচির প্রেসিডেন্ট মুফতি মুহাম্মাদ রফি উসমানি ইন্তেকাল করেছেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) করাচিতে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তিনি আল্লামা মুফতি তাকি উসমানির বড় ভাই এবং পাকিস্তানের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি দারুল উলুম করাচির প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শফি (রহ.)-এর ছেলে।
টুইট বার্তায় মুফতি তাকি উসমানি জানান, রবিবার (২০ নভেম্বর) দারুল উলুম করাচি প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট জানান, ‘ইসলামী শিক্ষার প্রসারে মুফতি রফি উসমানির অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। ধর্মীয় ও একাডেমিক বিষয়ে তার মূল্যবান সেবা রয়েছে।’ মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা কামনা করা হয়।
মুফতি রফি উসমানি ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই অবিভক্ত ভারতের দেওবন্দে ঐতিহ্যবাহী উসমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক পুরোধা মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.) তাঁর নামকরণ করেন। পবিত্র কোরআন হিফজ ও প্রাথমিক পড়াশোনা তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে করেন।
১৯৪৮ সালের ১ মে তার পিতা মুফতি শফি (রহ.)-এর সঙ্গে সপরিবারে পাকিস্তান হিজরত করেন। ফিলিস্তিনের গ্র্যান্ড মুফতি আমিন আল-হুসাইনির কাছে হিফজেরে শেষ পাঠ শুনিয়েছেন। ১৯৫১ সালে দারুল উলুম করাচিতে দরসে নেজামিতে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। এরপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
মুফতি রফি উসমানি দীর্ঘকাল দারুল উলুম করাচিতে উচ্চতর হাদিস ও ফিকাহ পড়িয়েছেন। তা ছাড়াও অল পাকিস্তান উলামু কাউন্সিল, কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি ও সিন্ধু প্রদেশের জাকাত কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের শরিয়াহ আপিল বিভাগের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিস আল-আরাবিয়ার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি এনইডি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। হাদিস, ফিকাহ, তাফসিরসহ বিভিন্ন বিষয়ে উর্দু ও আরবি ভাষায় তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে।