২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে ‘সন্ত্রাসবাদের মুখপাত্র’ বলে অভিহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের যারা শিকার তারা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনার জন্য সেই অপরাধীদের সঙ্গে একসাথে বসে না।
গোয়ায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভুট্টো জারদারি এসসিও সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এসেছিলেন; যা বহুপাক্ষিক কূটনীতির অংশ। তার এ সফরকে আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু দেখি না’।
এসসিও বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেননি। জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও দ্রুত কমছে। দেশটিকে এখন ঋণের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে’।
জয়শঙ্করের মন্তব্য এমন দিনে এলো যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কাছে একটি জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার অভিযানের সময় ৫ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল। পাকিস্তানি বলে সন্দেহ করা সন্ত্রাসীরা গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আরও পাঁচ সেনাকে হত্যা করেছিল।
ভারত বহুবার জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের করে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের সক্রিয় জড়িত থাকার প্রমাণ দেখিয়েছে। জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার, ২৬/১১-এর মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদসহ আরও অনেকে পাকিস্তানে রয়েছেন।
জারদারি নিহত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে। তিনি প্রায় ১২ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি ভারত সফর করেছেন৷
২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ভারত সফর করেছিলেন। পাকিস্তান থেকে সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের সফর ছিল ২০১৬ সালে, সরতাজ আজিজের।
এসিও বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া এসসিও-র জন্য ভালো কিছু হবে না’।