পাকিস্তানের হারের নেপথ্যে ‘বেতনহীন ৫ মাস’

পাকিস্তানের হারের নেপথ্যে ‘বেতনহীন ৫ মাস’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: একের পর এক হার দিয়ে বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচ শেষ করেছে পাকিস্তান। অথচ প্রথম দুই ম্যাচে জয় দিয়ে তাদের শুরুটা হয়েছিল। টানা হার পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাকে ঠেলে দিয়েছে ‘যদি-কিন্তু’র হিসাবে। বাবর আজমদের এমন করুণ দশার পেছনে কারণ হিসেবে অনেক আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় উত্তপ্ত ঘি ঢেলেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। তার অভিযোগ, বাবরদের গত পাঁচ ম্যাচের বেতন দেওয়া হয়নি!

বিশ্বকাপের আগে থেকেই মাঠ এবং মাঠের বাইরে একাধিক বিতর্ক ধাওয়া করছে ১৯৯২-এর বিশ্বজয়ীদের। নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই জয়ে যেখানে পাকিস্তান সমর্থকদের ভরসা জুগিয়েছিল, তা এখন অস্তমিত। বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল ভারত ম্যাচ থেকে। তারপর অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এবং সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার হজম করার পর পাকিস্তান আপাতত টুর্নামেন্টের আগাম বিদায়ের টিকিট কেটে ফেলেছে। যদিও খাতা-কলমে এখনও পাকিস্তানের সেমিতে যাওয়ার আশা বেঁচে রয়েছে।

সেমিতে উঠতে হলে বাবরদের শেষ তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা জিততে হবে। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়াকেও হারতে হবে তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে। যা আশা করাটা বেশ কঠিন-ই, অস্ট্রেলিয়া এখন দারুণ ছন্দে রয়েছে। তার মধ্যে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মোটামুটি শেষ চারের জায়গা পাকা করে ফেলেছে। এখন বাকি কেবল একটি দলের অবস্থান নিশ্চিত করা।

পাকিস্তানের এমন বিপর্যয়ের নেপথ্য কারণ হিসেবে বড়সড় তথ্য সামনে আনলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। টিভি চ্যানেল ‘পিটিভি’র এক টকশোতে তিনি বলেন, ‘পাক মিডিয়ায় বহু জিনিস দেখানো হচ্ছে। অনেক কিছুই হয়তো ভুয়া খবর। আমি সত্যিটা বলছি। যেটা অনেকদিন চাপা রয়েছে। বাবর আজম গত কয়েকদিন ধরেই পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তবে উনি কোনো প্রত্যুত্তর দিচ্ছেন না। সালমান নাসের (পিসিবির সিইও), উসামা ওয়ালহাকেও (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ডিরেক্টর) মেসেজ করেছিল বাবর। পিসিবির পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে, বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যে কেন্দ্রীয় চুক্তি রয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে।’

অন্যদিকে, একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালে ক্রিকেটাররা মোটেও পিসিবির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পাননি। দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব ইস্যুতে শেষমেষ বোর্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি।

বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারায় পাকিস্তানের একাধিক তারকা ক্রিকেটার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন। ইতোমধ্যে বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও দেশটির সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে। তার বদলে টেস্ট ফরম্যাটে সরফরাজ আহমেদকে জাতীয় দলের নেতৃত্বে ফেরানো হতে পারে। সরফরাজের সঙ্গেই নেতৃত্বের দাবিদার শাহিন আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *