২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : চলতি অর্থ বছরে পাকিস্তানে গম উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, সেটি পূরণ হবে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। তবে শেষ পর্যন্ত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টনে। মানে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন কম গম উৎপাদিত হবে।
গমের বীজের সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, গমের চেয়ে বেশি লাভজনক শস্য রোপন করার কারণে বর্তমান অর্থ বছরে পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেখা যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এছাড়া আগামী অর্থ বছরেও গম উৎপাদন কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে আরও বেশি গম আমদানি করার বিষয়টিও ভাবতে হতে পারে।
বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে ইসলামাবাদ অনেক পণ্য আমদানি করতে পারছে না। আর এ ডলার সংকটের মধ্যেই গম আমদানির পরিমাণ বাড়তে যাচ্ছে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে জানিয়েছেন, ‘অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আগামী অর্থ বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিলিয়ন টন গম আমদানি করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না। এ বছর ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি এ বছরের থেকেও বেশি।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টি হবে। এ বৃষ্টিও গম উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটাবে।
গম উৎপাদনের মাত্রা যখন ঝুঁকিপূর্ণ জোনে আছে, তখন আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, দেশটিতে মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে দাবদাহ দেখা দিতে পারে। দাবদাহের কারণে গত বছর প্রত্যাশার চেয়ে ১২-১৩ শতাংশ গম কম উৎপাদিত হয়েছে।
এছাড়া সরকারি নথির তথ্য অনুযায়ী, সরকার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গম চাষের জন্য দেশজুড়ে ২২ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন একর জমি নির্ধারণ করেছিল। যার মধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাবেই নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন একর জায়গা। তবে পাঞ্জাবে ১৬ দশমিক ০১ মিলিয়ন একর জায়গায় গম চাষ হয়েছে।