পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২

পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। মসজিদটি শহরের সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে পুলিশ সদর দপ্তর, গোয়েন্দা কার্যালয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী ব্যুরো রয়েছে। বোমা হামলাকারী কীভাবে ওই এলাকায় প্রবেশ করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

সোমবারের (৩০ জানুয়ারি) হওয়া ওই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকটি লাশ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হওয়া বোমা হামলাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ। এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন।

তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার সারবাকাফ মোহমান্দ টুইটারে এক পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করেছেন।

কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর টিটিপির মুখপাত্র মোহাম্মদ খুরাসানি বোমা হামলার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, “মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো আমাদের নীতি নয়। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন, তারা টিটিপির নীতির অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন।”

তবে টিটিপির একজন কমান্ডার কেন বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পর মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা ভয় তৈরি করতে চায়।”

এদিকে প্রধান উদ্ধার কর্মকর্তা বিলাল ফাইজি বলেছেন, “বোমা হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়াও, মঙ্গলবার শোকার্ত ব্যক্তিরা পেশোয়ার ও অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন কবরস্থানে বোমা হামলায় নিহতদের দাফন করছেন।”

হাসপাতালের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে, ২০ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসারের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে, তাদের কফিন পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। নিহত বাকিদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা শুরু হয়েছে।

পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মোহাম্মাদ ইজাজ খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে এর আগে বলেছিলেন, বোমা হামলার সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন পুলিশ অফিসার সেখানে ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *