পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, দেশে করোনাকালীন এই চরম দুঃসময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী ৫১ হাজার শ্রমিকের চাকরিচ্যুত করা চরম অমানবিক। ধরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
বুধবার (১ জুলাই) বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় খাতের সবগুলো পাটকল সরকার বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনায় বিশ্বব্যাপী চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ কাজের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে দিনপাত করছে। এরমধ্যে পাটকলগুলোয় বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক আছেন ৫১ হাজার। ৫১ হাজার কর্মীর পরিবারের অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় তৈরি করা হচ্ছে সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে। এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনার ভয়ঙ্কর অভিঘাতের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাকুক, সরকার বর্তমানে কর্মে নিযুক্ত মানুষকেও কর্মচ্যুত করছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসাবে পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবের দেয়া বক্তব্য ‘গত ৪৮ বছরে সরকারকে এই পাট খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।’ পাট খাতে যে লোকসান হয় সেটার জন্য শ্রমিকরা কোনভাবেই দায়ী নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত আর সব খাতের মতো প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণেই এই শিল্পগুলোতে লোকসান হয়। সেই ব্যর্থতার মূল্য আজ দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। তারা বলেন, রাষ্ট্রের সকলক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন সেক্টর বন্ধ করে দেয়া কোন ভাল লক্ষণ নয়। বরং অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে কিভাবে লাভজনক করা যায় সে চিন্তা করা উচিত। সরকার তা না করে একের পর এক পাটকলসহ অন্যান্য সেক্টর বন্ধ করে দেয়া কোন ভাল কাজ হতে পারে না। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে হবে।