পাশের সিট ফাঁকা রেখে ফ্লাইট শুরু করার নির্দেশনা আসছে!
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাশের সিট ফাঁকা রেখে চলবে বিমান। এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা এমনই। এখন আপাতত বন্ধই আছে উড়োজাহাজ চলাচল। উড়তে শুরু করলে আইকাও-এর নির্দেশনা মানতে হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে বন্ধ রয়েছে সবধরনের উড়োজাহাজ চলাচল। গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ সময়সীমা পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ৭ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালিত হবে না।
যদিও এর আগে অভ্যন্তরীণ রুটে ৮ মে থেকে ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
১৬ মে’র পর কী হবে, কীভাবে ফ্লাইট পরিচালিত হবে— সবকিছু নির্ভর করছে ওই সময় করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর। তবে এ সময়ের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা ঠিক করে রেখেছে বেবিচক। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উড়োজাহাজের এক সিটে বসবেন যাত্রী, পাশের সিট থাকবে ফাঁকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে- সেটা অভ্যন্তরীণ রুট হোক বা আন্তর্জাতিক রুট।
ইতোমধ্যে আইকাও’র নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বেবিচক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হলে একজন যাত্রীর সঙ্গে অন্যজনের অন্তত তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এজন্য দেশের ফ্লাইট পরিচালনায়ও এমন নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল করলেও উড়োজাহাজের ভেতরে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেন না। যে সিটে যাত্রী বসবেন তার পাশের সিটটি রাখতে হবে ফাঁকা। যদি প্রতি সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি সিট থাকে তাহলে প্রতি সারির মাঝের সিটটি ফাঁকা রাখতে হবে। যদি প্রতি সারিতে দুটি করে চারটি সিট থাকে তাহলে একটি সিটে যাত্রী থাকবে, অপরটি থাকবে ফাঁকা।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ আকাশপথে এই চারটি বিমান সংস্থা চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশালে প্রতিদিন ১৪০টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করত। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১২ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করতেন।
তবে স্বাস্থ্যবিধি ও বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন দিনে মাত্র ৭২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সব ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেন্দ্রিক পরিচালিত হবে।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক আকাশপথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ আকাশপথেও ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক।