২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই পরোয়ানা জারি করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ।
যদিও এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন আক্রমণ চালানো রাশিয়া একাধিকবার যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক নারী মুখপাত্র বলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো ধরনের তাৎপর্য নেই।
এর আগে রাশিয়া বলেছিল, তারা আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে রাশিয়াকে বিচারের এখতিয়ার আদালতটির নেই। ২০১৬ সালে আইসিসি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া।
আইসিসি’র সংজ্ঞা অনুসারে, কোনো রাষ্ট্র দখল, বোমাবর্ষণ বা বন্দরে অবরোধ করা আগ্রাসনের আওতায় পড়ে। কিন্তু যদি কোনো রাষ্ট্র আইসিসি’র অন্তর্ভুক্ত না হয় তাহলে দেশটির কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আগ্রাসনের অপরাধে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না।
এছাড়া আইসিসি কোনো দেশের বিচার করে না। কোনো অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দায়ী নেতা ও কর্মকর্তাদের বিচার করে আদালতটি। এছাড়া আইসিসি কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনের বিচার করতে হলে হয় রুশ কর্মকর্তাদের তাকে আদালতের হাতে তুলে দিতে হবে অথবা রাশিয়ার বাইরে কোনো দেশ বা অঞ্চলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে বেআইনিভাবে শিশু ও মানুষকে রাশিয়াকে স্থানান্তরের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন, আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তের কোনও মূল্য নেই, এমনকি আইনি দিক থেকেও। আইসিসির রোম স্ট্যাটিউটে স্বাক্ষর করেনি রাশিয়া। ফলে এই আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়ামাক সোশাল মিডিয়ায় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি কেবল শুরু।
এমন সময় এই পরোয়ানার জারির খবর সামনে আসলো যখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দুই দেশের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছাবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের পর নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া।