২৭শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কে প্রথম বার মুখ খুললেন ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার কী প্রয়োজন! বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মন্দির-মসজিদ বিতর্কে পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপায় বের করার কথা বলেছেন আরএসএস প্রধান।
রাম মন্দিরের পরে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোপাঠ করা ও মথুরার শাহি ঈদগা সরানোর দাবিতে সরব ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২ জুন) নাগপুরে এক সভায় মোহন ভাগবত বলেন, ‘আমাদের কিছু জায়গা (ধর্মীয় স্থান) নিয়ে বিশেষ ভক্তি থাকতে পারে। কিন্তু তা বলে রোজ নতুন নতুন বিষয় কেন জাগিয়ে তোলা হবে? আমাদের আদৌ বিতর্ক বাড়ানো উচিত নয়। জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে প্রত্যেক মসজিদেই কেন শিবলিঙ্গ খোঁজা হবে?’
জ্ঞানবাপী প্রসঙ্গে সঙ্ঘপ্রধান আরও বলেন, ‘ইতিহাসকে পাল্টানো যায় না। আজকের কোনও হিন্দু বা মুসলিম এটা তৈরি করেননি। অতীতে হয়েছিল। বহিরাগত আক্রমণকারীদের মাধ্যমে ইসলাম এ দেশে এসেছিল। দেশের স্বাধীনতাকামীদের মনোবল নষ্ট করতে দেবস্থান ভাঙা হয়েছিল।’ সবাইকে আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।
ভাগবত বলেন, ‘ওরা হয়তো অন্য ধরনের উপাসনা করেন। কিন্তু মুসলিমরা আসলে আমাদেরই মুনি-ঋষি ও ক্ষত্রিয়দের বংশধর।’
জ্ঞানবাপীর পরে কুতুব মিনারে পুজোপাঠ, তাজমহলের প্রকৃত সত্য জানতে চেয়ে সরব হয়েছে আরেকটি অংশ। অনেকে বলছেন, এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে সমাজে অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা মনে করছে, ভবিষ্যতে প্রায় প্রতিটি সংখ্যালঘু ধর্মস্থানের ঐতিহাসিক সত্য জানতে চেয়ে কেউ না কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হতে থাকেন এবং কাঙ্ক্ষিত ফল না পান, সে ক্ষেত্রে দায় আসবে বিজেপির উপরে।
বারাণসী জেলা আদালত হিন্দু নারীদের দায়ের করা মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির আবেদনের শুনানি ৪ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।