পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আমিষসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ডাল জাতীয় ফসলের অপরিসীম। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির পুষ্টির চাহিদা পূরণ, মাটির জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ডাল ফসল প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাল উল্লেখযোগ্য পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে এবং কোলন ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো বেশ কিছু অসংক্রামক রোগ কমাতে ভূমিকা রাখে। উৎপাদন, ফলন, চাষাবাদকৃত এলাকা এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় খাদ্যশস্য এবং তৈলবীজের পাশাপাশি ডাল ফসল কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ডাল খুবই সাধারন একটি খাবার। আমাদের দেশেও বেশিরভাগ বাড়িতেই একবেলা এমনকি দুইবেলায়ও খাবার টেবিলে ডাল থাকে। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার এমনকি বিকেলের নাস্তায়ও ডালকে বেছে নেওয়া হয়। তবে জানেন কি ডাল কতটা উপকারি! চলুন জেনে নেওয়া যাক ডালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারে তিনটি উপাদান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো পর্যাপ্ত পুষ্টি, মানসম্পন্ন প্রোটিন ও ফাইবার। এই তিনটি উপাদানই ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের ক্ষুধা নিবারন করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
ডালে ক্যান্সার-বিরোধী উদ্ভিদ রাসায়নিক, বিশেষ করে আইসোফ্লাভোনস এবং ফাইটোস্টেরলস রয়েছে। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন বি ফোলেট সমৃদ্ধ হওয়ায় ডাল ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে পুণরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। যার ফলে এটি বার্ধক্য রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কোথা থেকে ডাল কিনছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডালের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পেতে একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এটি কিনুন। শুধুমাত্র অমসৃণ ডালেই সব ধরনের পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
প্রতিদিন একই ডাল খেলে বিরক্তি চলে আসতে পারে। তাই আপনার খাবার টেবিলে বিভিন্ন ধরনের ডাল রাখতে পারেন। আবার ডাল রান্নায় বৈচিত্র্যও আনতে পারেন।