পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: মধুর গুণ সম্পর্কে সকলেই জানেন। সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রসের সঙ্গে দুফোঁটা মধু বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তা ছাড়া সর্দি-কাশিতে চায়ের সঙ্গে, দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে। এই সমস্ত উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে মধু কিন্তু ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াতেই পারে।
ঠাণ্ডা থেকে গরম। আবার, গরম থেকে ঠাণ্ডা। কিংবা দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা। কখনো আবার মেঘভাঙা বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি স্বভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শরীরের সমস্যা হয়। ফলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তা ছাড়া এসময় বাতাসে পোলেন, অ্যালার্জেনের মতো উপাদানও বাড়তে থাকে। যার ফলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেকেরই এসময় নাক, কান, গলা সুড়সুড় করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই হাঁচি শুরু হয়। এধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধুও মন্দ নয়। তবে তা খাঁটি হওয়া চাই।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মধু কিনতে পাওয়া যায়। সকলেই দাবি করেন, তাঁদের মধুতে কোনো রাসায়নিক মেশানো নেই। মধু খাঁটি কি-না, খালি চোখে তা বোঝা মুশকিল। সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিজে উপস্থিত থেকে চাষের মধু বা চাক থেকে মধু সংগ্রহ করা যায়।