প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব : আরশাদ মাদানি

প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব : আরশাদ মাদানি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের প্রবীণ মুহাদ্দিস, প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি আমিরুল হিন্দ আল্লামা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেছেন, ইসলামে কোরবানির বিকল্প কিছু নেই। এটি ধর্মীয়ভাবে অবশ্য পালনীয় বিধান। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। এজন্য যার ওপরই কোরবানি ওয়াজিব হবে, সর্বাবস্থায় তার কোরবানি করতে হবে।

সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইটিভির উর্দু ভার্সনে জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানি উপলক্ষে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাদানি এসব কথা বলেন।

এ সময় সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও বর্ষীয়ান এ আলেম ভারতীয় মুসলমানদের সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী কোরবানিতে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এটা জরুরি যে- মুসলমানরা (কোরবানিতে) সাধ্যানুযায়ী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরশাদ মাদানি মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোরবানি নিয়ে প্রচারণা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোরবানির পশুর ছবি ইত্যাদি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

নির্দেশনায় মাওলানা মাদানি মুসলমানদের প্রতি কোরবানি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা যথাসম্ভব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, (সরকারিভাবে) নিষিদ্ধ- এমন পশু কোরবানি করা থেকে বিরত থাকুন, যেহেতু শরিয়তে তার বদলে অন্য পশু জবাইয়ের বিকল্প আছে। এটা স্রেফ ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য।

মাওলানা মাদানি বলেন, এরপরও যদি কোথাও বিকল্প পশু কোরবানিতেও সাম্প্রদায়িকতার শিকার হন, তাহলে সমাজের বুদ্ধিজীবী ও প্রভাবশালীদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কোরবানি করুন। আল্লাহ না করুন- এভাবেও যদি কোরবানি করা সম্ভব না হয়, তাহলে নিকটবর্তী যে অঞ্চলে কোরবানিতে বাধা নেই, সেখানে গিয়ে পশু জবাই করুন।

তিনি বলেন, তবে যেসব স্থানে আগে থেকেই কোরবানি হয়ে আসছিল কিন্তু বর্তমানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় অন্তত একটি বকরি কোরবানি করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনে নিবন্ধন করে নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

মাওলানা মাদানি কোরবানি উপলক্ষে গোটা ভারতের মুসলমানদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতিও বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেছেন, পশুর বর্জ্য সড়কে, নালায় ও গলির মধ্যে ফেলবেন না; বরং আবর্জনা এমনভাবে মাটিতে পুতে রাখবেন, যাতে সেখান থেকে দুর্গন্ধ না বের হয়।

মুসলিমদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত যে- আমাদের কাজের দ্বারা কারো যেন কষ্ট না হয়। আর যেকোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা উচিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *