পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সফরের তারিখ নির্ধারণের কাজ চলছে। আজ সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে উগান্ডা যাচ্ছেন ড. হাছান মাহমুদ। এটি একটি বহুপক্ষীয় সফর। আগামী ১৭ জানুয়ারি তিনি এ সফর শুরু করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে আমাকে দিল্লি সফরের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আমরা সময়টা দেখছি, কখন আমার জন্য এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য সুবিধাজনক হয়। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা চাচ্ছি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত হবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।
এরপরও আমরা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত, আমরা কানেন্টিভিটি ইস্যুতে আলোচনা করেছি। সীমান্ত হাট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশের টাকার বিনিময় সংক্রান্ত বাণিজ্য এটিকে সম্প্রসারণ করা। এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, এটাতে অল্প বিস্তর বাণিজ্য হয়েছে; এটিকে সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয় করা যায় সবার কাছে পরিচিত করা যায় এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি জনপ্রিয় করা গেলে ডলারের ওপর বা অন্য কারেন্সির ওপর প্রভাব কমবে। আমাদেরও কমবে, ভারতেরও কমবে। বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হবে।’
সম্পর্কে আরো গতিশীলতার আশা ভারতের
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মেয়াদে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে আরো বেশি গতিশীলতা আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্ক আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্বে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘গত ১০ বছর বা তারও বেশি সময়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে অভাবনীয় গতি অর্জন করেছে তা আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সাম্প্রতিক কিছু উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি। ২০২৩ সালের ইতিবাচক বেশ কিছু উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘বড় কিছু প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পাইপলাইন, দুটি রেলপথ প্রকল্প, একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প, রুপিতে দুই দেশের বাণিজ্য, ডিজিটাল অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থার সংযোগ ও স্টার্টআপের মতো নতুন কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি।’
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভবিষ্যতে কাজ হবে এমন বিষয় নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল অর্থনীতি। আমরা কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনকে সহায়তা করতে পারি এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। এই সরকারের নতুন মেয়াদে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরো অনেক বেশি গতিশীলতা আসবে এবং আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে। সব সময় বলেছি আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তার জন্য, স্থিতিশীল, সম্ভাবনাময়, অগ্রগামী সমাজ গঠনে প্রস্তুত আছি।’