পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন এমপি মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার ঢাকায় দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে তিনি আবেদনপত্র জমা দেন।
এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আবেদনে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার অঙ্গীকার করেছেন সাবেক এই তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করছি, ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যাতে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। ’
এমপি মুরাদ বলেন, ‘একটি দল বা সংগঠন নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়েই পরিচালিত হয়। আমি আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। দল যেটা ভালো মনে করবে, আমি সেটার মধ্যেই আছি। ’
গত বছর খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং এক অভিনয়শিল্পীকে টেলিফোনে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন এমপি মুরাদ। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে দলীয় ও প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান তিনি। এরপর থেকে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থান করছিলেন।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম পুনরায় ফিরছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গত বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করা হয়নি। তিনি সাময়িক বরখাস্ত। তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
গত বছরের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলমের একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই জেরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান তিনি। এ ছাড়া মেয়র পদ থেকেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।