পাথেয় রিপোর্ট : ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের ভূমিকা পালন করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছেন। তার ওপর জনগণের আস্থা নেই। একদিন জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কোন্ডা ইউনিয়নের ইস্টার্ন বাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক কাউছার, অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, আলী হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা- ৩ আসনের কেরানীগঞ্জের কদতমলী জিনজিরা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে গয়েশ্বর চন্দ্রের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানের শীষের প্রচারণায় ঢাকা-৩ আসনের চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বের হন ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রিজভী বলেন, প্রচারণাকালে তার ওপর লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্রসহ তার বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। পরে আহতাবস্থায় তাকে রাজধানীর বিজয়নগরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী মো. শাহিন বলেন, প্রচারণাকালে তার ওপর লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ জানান, নির্বাচনী গণসংযোগের সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
