প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রাইম ব্যাংকের আদাবর রিং রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা ওরফে মিঠুসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। গোলাম মোস্তফা ওরফে মিঠুকে এক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আরাফাত আলী খান, হাবিবুর রহমান ওরফে জুয়েল এবং শহিদুল ইসলাম ওরফে শিপলুকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, গোলাম মোস্তফাকে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ২২২ টাকা, হাবিবুর রহমানকে ৫ লাখ ৮১ হাজার ২২২ টাকা, শহিদুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকা এবং আরাফাত আলীকে আলী খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত আত্মসাৎ করা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার ৪৪৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত। আদাবর রিং রোডের প্রাইম ব্যাংক শাখার প্রধান ও ব্যবস্থাপক জাহান আরা বেগম, একই শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ এবং ক্রেডিট অফিসার জাহিদুল ইসলাম খান, প্রধান মেসার্স তামান্না ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর প্রোপ্রাইটর আব্দুল হাই, তার স্ত্রী রওশন আরা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা আদাবর রিং রোড শাখায় ২০০৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ১১ আগস্ট পর্যন্ত অপারেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরিরত থাকা অবস্থায় অন্যান্য আসামিদের যোগসাজসে তিনি ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ওই শাখার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন ২০১১ সালের ১২ নভেম্বর আদাবর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত র্কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম।