ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে মারল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে মারল ইসরায়েল

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল ওই কিশোর। বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে সে গুলিবিদ্ধ হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুনির আল তামিমি নামের ওই কিশোর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পশ্চিমতীরের বেইতায় শুক্রবার শত শত ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে অংশ নেন।

এদিকে রেড ক্রিসেন্ট বলছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩২০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, রাবার বুলেটে জখম হয়েছেন ৬৮ জন এবং অন্যদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে।

শুক্রবার শত শত ফিলিস্তিনি বেইতায় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হন। গত কয়েক মাসের মধ্যে ওই এলাকা সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে ইসরায়েল বলছে, সহিংসতায় দুই ইসরায়েলি সেনা সামান্য আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, শত শত ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই কিশোরের জানাজায় শত শত ফিলিস্তিনি অংশ নিয়েছেন। তার মরদেহ নিয়েও বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। ফিলিস্তিনের বেইতা অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েল অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদেই সেখানে বিক্ষোভ করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় অ্যাভিয়েটার আউটপোস্ট ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে বসতি স্থাপনকারীদের। এখন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই এলাকাকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় এলাকা হিসেবে বিবেচনার বিষয়ে চিন্তা করছে। এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সেখানে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে বেইতার মেয়র ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যতদিন আমাদের মাটিতে একজন ইসরায়েলিও থাকবে ততদিন বিক্ষোভ চলবে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে সাড়ে ছয় লাখের বেশি ইসরায়েলি বসতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অধিকৃত অঞ্চলের সব ইসরায়েলি বসতিই অবৈধ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *