পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম সংগ্রামী নেতা আহমাদ জিবরিল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন পপ্যুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। দখলদার ইসরায়েলের কবল থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন তিনি।
লেবানন-ভিত্তিক আল-মায়াদিন টেলিভিশন জানিয়েছে, বুধবার (৭ জুলাই) রাতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৩ বছর বয়সী জিবরিল। ১৯৩৮ সালে ফিলিস্তিনের ইয়াফা শহরের নিকটবর্তী ইয়াজুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আহমাদ জিবরিল। তার পিতা ফিলিস্তিনি এবং মা ছিলেন সিরিয়ার নাগরিক।
পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমাদ জিবরিলের জন্মের মাত্র ১০ বছর পর ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন দখল করে নেয় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এ সময় অনেক ফিলিস্তিনি পরিববারকে বিতাড়িত করা হয়। যার মধ্যে ছিল জিবরিলের পরিবারও। পরে জিবরিলের পিতা পরিবার নিয়ে সিরিয়ায় চলে যান।
১৯৫৬ সালে মিশরের সামরিক একাডেমিতে ভর্তি হন আহমাদ জিবরিল। ১৯৫৯ সালে সেখান থেকে সাফল্যের সঙ্গে কমিশন লাভ করেন তিনি। এর পর সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান করেন জিবরিল। তবে মাতৃভূমিকে দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার চিন্তা তাকে তাড়া করে ফেরে।
তাই সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায়ও তিনি এ নিয়ে পরিকল্পনা করতে থাকেন। দখলদারদের কবল থেকে নিজের জন্মভূমি মুক্ত করার লক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গোপনে কাজ শুরু করেন আহমাদ জিবরিল। গড়ে তোলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন পপ্যুলার ফ্রন্ট ফর দ্যা লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আমিন আল-হাফিজের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৬৩ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এর পর সার্বক্ষণিক প্রতিরোধ সংগ্রামে যোগ দেন এই সেনা কর্মকর্তা। এই প্রচেষ্টায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেন। ২০১১ সালে বিদেশি শক্তিগুলোর মদদে যখন সিরিয়ায় সহিংসতা শুরু হয়, তখন উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরীয় সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন আহমাদ জিবরিল।