২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের দুই বছর পর ষষ্ঠ দফায় দেশটির কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, বিরোধী মত দমন-পীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের জ্বালানিমন্ত্রী, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সম্পদ জব্দ ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে দেশটির ৯ কর্মকর্তা, ৭টি প্রতিষ্ঠান, জ্বালানিমন্ত্রী মিও মিন্ট, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান-অব-স্টাফ জেনারেল মং মং আয়, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মো অং এবং সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহকারী তিনটি সংস্থার প্রধানরা।
এছাড়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং সেনাবাহিনীকে জ্বালানি, অস্ত্র ও তহবিল সরবরাহকারী বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানিও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ৯৩ জন ব্যক্তি ও ১৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা দিলো।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জান্তা সরকার ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। নির্মমভাবে বিদ্রোহ দমন করছে সেনাবাহিনী। যার জেরে তাদের ওপর বারবার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার গত বছর মার্চে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীনভাবে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৭০ হাজারের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গেছে।
প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান চালাচ্ছে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা তাদের দায়িত্ব।