ফ্লেচারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেটের প্রথম জয়

ফ্লেচারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেটের প্রথম জয়

ক্রীড়া ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লসের ঝড়ো ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সিলেট থান্ডার। আগে ব্যাট করতে নেতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রান সংগ্রহ করে সিলেট থান্ডার। জবাবে ১৫২ রানে অলআউট হয় খুলনা টাইগার্স। এই জয়ে মধ্য দিয়ে শুরু হলো সিলেটের জয় পর্ব।

সিলেটের হয়ে ফ্লেচার ৫৭ বলে অপরাজিত ১০৩ ও চার্লস ৩৮ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পর নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে হারলো খুলনা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওভারেই সিলেট থান্ডারের আব্দুল মাজিদের উইকেট তুলে নেন রবি ফ্রাঙ্কলিন। এরপর ক্রিজে জুটি বাঁধেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস। শুরু থেকেই বিধ্বংসী রুপে ব্যাট চালান তারা। পাওয়ার প্লেতে ৭২ রান পায় সিলেট। আর ইনিংসের অষ্টম ওভারে ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন চার্লস। ফ্লেচার ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

চার্লস-ফ্লেচারের ব্যাটিং ঝড়ে নবম ওভারেই সিলেটের স্কোর শতরানে পৌঁছায়। আর হাফ-সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য চার্লসের। নার্ভাস নাইন্টিতে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়েন তিনি। ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৯০ রান করেন চার্লস। ডান-হাতি পেসার শহিদুল ইসলাম আউট করেন চার্লসকে।

চার্লস ব্যর্থ হলেও টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন ফ্লেচার। ৫৩ বলে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরির আগে ১৭তম ওভারে সিলেটের দলীয় রান ২০০ স্পর্শ করে। ফ্লেচার সেঞ্চুরির পান ১৯তম ওভারে। শেষ পর্যন্ত ফ্লেচারের ৫৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট।

জয়ের জন্য ২৩৩ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় খুলনা। শূন্য হাতে ফিরেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন সাইফ হাসান ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো। ৫১ বলে ৭৪ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ৩১ বলে ৫১ রান ছিলো রুশোর। ২০ বলে ২০ রান করে ফিরেন সাইফ। আর ৩২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫২ রান করেন ইনফর্ম রুশো। তাদের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শামসুর রহমান। মুশফিক ১২ ও শামসুর ৭ রান করে ফিরেন। শেষদিকে ২০ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে খুলনাকে বড় হারের মুখ থেকে রক্ষা করেন ফ্রাইলিঙ্ক। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে ১৫২ রানে অলআউট হয় খুলনা। সিলেটের ক্রিসমার স্যান্টোকি ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *