পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অমর একুশে বইমেলা ২০২১ উপলক্ষে ‘চৈতন্য প্রকাশন’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তরুণ কবি ও সাংবাদিক আদিল মাহমুদের কাব্যগ্রন্থ ‘আনকাবূত’। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। মুদ্রিত মূল্য ১৬০ টাকা।
এ বই প্রসঙ্গে আদিল মাহমুদ বলেন, ‘আনকাবূত’ কাব্যগ্রন্থ যেন আমার দৈনন্দিন জীবনের স্মৃতির অ্যালবাম। আমার দিনালিপি মাত্র। মন কখনো কি অবস্থায় ছিল তারই বৃত্তান্ত। এছাড়াও কিছু কবিতায় মাঝে মাঝেই ছায়া ফেলেছে আমাদের ঐতিহ্য, জীবনবোধ, সুখ ও শোককাতর অনুভবমালা।’
কবি ও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে কবি শাহাদাত জামান বলেন, ‘আদিল মাহমুদ একজন নীরব ও নিঃশব্দ অনুসন্ধানকারী দহনদগ্ধ কবি। তার শব্দ নির্বাচন, প্রয়োগ কৌশল, অনবদ্য চিত্রকল্প, সৃষ্টি বৈচিত্র্য, নির্মাণশৈলী আনন্দদায়ক। প্রথাগত আবেগকাতরতা, থরোথরো প্রেমময়তা পরিহার করে স্বতন্ত্রস্বাদ রচনায়, ছন্দ ও ছন্দোহীনতায় তিনি অন্যতম। তাঁর ‘আনকাবূত’ কাব্যগ্রন্থে দেখেছি এইসব অনুভবী বৈশিষ্ট্য।’
তিনি বলেন, ‘কবিতায় আদিল মাহমুদ জাগতিক বিপন্নতা থেকে কোনো এক মহাজাগতিক আশ্রয়চেতনার দিকে হেঁটে চলছেন একা। আর আন্মোচন করছেন নৃত্যনন্দন আচ্ছন্নতার জাদুবলয়। নিঃসঙ্গতা ও সময়ের অস্থিরতা স্বত্তেও তাঁর কবিতায় আছে এক ধরনের নম্রতার আবরণ। আনকাবূত কাব্যগ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ‘মাটিতে পা রেখেছি বলে আমার পিছু ছাড়লো না! তার থেকে চাই ক্ষমা’। ‘মাটির বুকে ফুলের ঝরে পড়ার মত তুমিও একদিন অনায়াসে ঝরে পড়বে। মাটিতেই মাটি হবে’। কম বয়সী তরুণ এই কবির কবিতার জীবন ও বোধের প্রতি আমার সম্মান রইলো।’
সিলেটের কানাইঘাট থানার ভাটিদিহি গ্রামে ২০ জুন ১৯৯৮ সালে আদিল মাহমুদের জন্ম। পিতা: আনওয়ারুল আম্বিয়া মানিক, মাতা: জোছনা আহমেদ। ছেলেবেলা থেকে থাকেন ঢাকা শহরে। পড়ালেখা করেছেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশে। কৈশোর থেকে টুকটাক লিখেন। এখন নিয়মিত। নিজেকে প্রকাশের মাধ্যম কবিতার পাশাপাশি গল্প ও প্রবন্ধ লিখে চলছেন অবিরাম। অনুবাদ সাহিত্যেও আছে তাঁর বিরাট দখল।
ঘরে বসে বইটি কিনতে রকমারি থেকে ভিজিট করুন।: https://www.rokomari.com/book/209871/ankabut