পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সন্তানের মিথ্যা বলার প্রবণতা অভিভাবকদের একটি বড় ভাবনার কারণ। মনোবিদদের মতে, বকুনি খাওয়ার ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়েই এই অভ্যাস বাসা বাধে শিশুদের স্বভাবে। অনেক সময়ে মা-বাবা এই স্বভাবকে গুরুত্ব না দিলেও তা পরে বড় আকার ধারণ করে।
শুধু তা-ই নয়, কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে। ছোট থেকেই রুখে না দিলে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। শিশুরা কখনও বকুনির ভয়ে মিথ্যা কথা বলে বসে তারা। এই স্বভাবের জন্য অনেক বাবা-মাই শিশুদের ব্যাপক বকাবকি করেন। তবে শাসন বা মারধরে না গিয়েও এই স্বভাব রুখে দিতে পারেন আপনি।
শিশুকে প্রথম থেকেই গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, ঈশপের গল্প, নীতিকথা শেখান। বড় মানুষরা কেউ মিথ্যা পছন্দ করতেন না অথবা মিথ্যা বিষয়টা ভালো নয়, সে ধারণা ছোট থেকেই তাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।
শিশুদের সামনে যতটা সম্ভব মিথ্যা এড়িয়ে চলুন। তারা অভিভাবকদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখে।
মিথ্যা বলা কতটা খারাপ সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা শিশুকে দিন। মিথ্যা কথা বললে আপনি বকাবকি না করে ওর সঙ্গে কিছু সময় কথা বলা বন্ধ করে দিন, দেখুন তাতে সমস্যা কমে কি না।
শিশু কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে, সেদিকে লক্ষ রাখুন। তার চারপাশের বন্ধুরা কেমন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। তাদের মধ্যে কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেন আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে বিষয়টিও নজরে রাখুন।
কোনটা মিথ্যা আর কোনটা কল্পনা, তা আগে নিজেরা বুঝুন। কোনো কোনো কল্পনা শিশু বয়সের জন্যই নির্ধারিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেও যায়। কাজেই ছোটখাটো কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। শাসনের বাড়াবাড়ি না করে বুঝিয়ে বলুন শিশুকে।
তাছাড়া কোনভাবেই মিথ্যা রুখতে না পারলে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।