বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জিয়া : নানক

বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায়জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একথা বলেছেন।

জিয়াউর রহমান কীভাবে তাদের মদদ দিয়েছেন, কীভাবে তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা করেছিলেন তাও বলেছেন।

শনিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পরে এসব কথা বলেন তিনি।

অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে একটি বর্বর ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকা- হয়েছিল। সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকাংশ হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে দ-াদেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। তারা কুটনৈতিকভাবে যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাদের দেশে ফেরত এনে রায় কার‌্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলোপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী তাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। বাকি ৩ জন এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী ২০২০ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার‌্যকর করা সম্ভব হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ভূ-খ-। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধু জাতির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোস্তাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় শোক দিবসের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধি সৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় আসতেন। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেননি তিনি। তবে শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।

এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, আফজাল হোসেন, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিতে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *