বঙ্গবন্ধু টানেলে কোন যানবাহনে কত টাকা টোল দিতে হবে

বঙ্গবন্ধু টানেলে কোন যানবাহনে কত টাকা টোল দিতে হবে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল” উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে টানেলটি কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগকে সহজতর করবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দিয়েছে।

টানেল দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে। তবে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ দুই চাকা ও তিন চাকার যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে কোন যানবাহনে কত টাকা টোল দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেটকার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলরকে।

ট্রেইলরের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে। এ ছাড়া পিকআপ ২০০, মাইক্রোবাস ২৫০, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০, বাস (৩২ আসনের বেশি) ৪০০, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০, ট্রাক (৫.০১ থেকে ৮ টন) ৫০০, ট্রাক (৮.০১ থেকে ১১ টন) ৬০০, ট্রাক ও ট্রেইলর (৩ এক্সেল) ৮০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ করে দিতে হবে।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করবে এ পথে। ২০৪০ সালে দৈনিক ৬২ হাজার চলাচলের টার্গেট রয়েছে টানেল দিয়ে।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। গত বছরের ২৬ নভেম্বর টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের একটি টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন করা হয়। এই উদযাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়লি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬.৬৪ কোটি টাকা। পরে বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২% সুদে ৫ হাজার ৯১৩.১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *