বদলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি

বদলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি

বদলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি

  • স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা
  • এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়ন খোঁজার নির্দেশ
  • শিক্ষার্থীদের বাসায় পাঠদান নিশ্চিত করার নির্দেশ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :  বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরীক্ষার ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হতে পারে। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মাউশি থেকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে নোয়াখালীর শুভশ্রী রায় নামে এক ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। সামনে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষার প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সামনে তো বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, দেখি সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে।’

শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রমোশনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনের মাধ্যমে অনলাইনে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বইপত্র তো আছেই। সব শিক্ষার্থীকে বলবো ঘরে বসেই তারা পড়াশোনা করুক। তারপর দেখি আমরা কীভাবে কী করতে পারি। কারণ সামনে তো ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে। প্রমোশনটা দেওয়া কিংবা পড়াশোনা যাতে চলতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা।’

এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশি সূত্র বলছে, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় একটি স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আগের মতো আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে না।

সূত্র বলছে, ক্লাসে দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। প্রতিদিন একসঙ্গে সব শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে না। কর্মঘণ্টাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্তরে ক্লাস নেয়া হবে। এক্ষেত্রে মৌলিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সপ্তাহে একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই অথবা তিন দিন ক্লাস নেয়া হবে। সপ্তম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। পরীক্ষা কমাতে শ্রেণি শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই করোনার ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সেজন্য স্কুল-কলেজ খুললে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। পরীক্ষা কমাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর দেয়া হবে। ক্লাসে মৌলিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গাইডলাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে নির্বাচন করা হবে। গাইডলাইন তৈরির পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।’

‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা হবে। এগুলো একটি বই আকারে তৈরি করে তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান খোলার আগে কী করণীয় এবং পরে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা গেলে কী করণীয় সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সিডিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা দিকনির্দেশনা তৈরি করেছি। সবাইকে সেগুলো মেনে চলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে না। বিদ্যালয় খোলার ১৫ দিন আগে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণীয় ও প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত খসড়া নির্দেশনায় দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনা আসার পর ন্যূনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের গেটে বা প্রবেশের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করবেন। থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হবে।

পাঠ্যক্রম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগের মতো ক্লাসে এক বেঞ্চে তিন-চারজন বসতে পারবে না, দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থীকে বসাতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগের মতো আর সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে না। একটি স্তরে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন অথবা প্রতিদিন দু-তিনটি ক্লাস নেয়া হবে। তবে ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যক্রম নির্বাচন করে কোন দিন কোন বিষয়ের ক্লাস নেয়া হবে তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও এসএমসির সদস্যদের নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক পরে আসতে হবে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে উপচেপড়া ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটাচলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয় শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের বাসায় পাঠদান নিশ্চিত করার নির্দেশ: আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। স্কুল বন্ধে শিক্ষার্থীদের বাসায় বসে পাঠ্যবই পাঠ নিশ্চিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। প্রধান শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।

এসময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়ন খোঁজার নির্দেশ: এইচএসসি পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধানদের অংশগ্রহণে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এক অনলাইন সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে গত এপ্রিলের পূর্বনির্ধারিত এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তীসময়ে শিক্ষাব্যবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তিনি করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন।
সভায় মহামারি করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *