পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা সঙ্কটের মাঝেই ফিরে এল ভারতের দিল্লির বুরারির ঘটনা। ২০১৮ সালের ১ জুলাইয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল বুরারির চুন্দাবত পরিবারের ১১ জন সদস্যের। ঘটনার প্রায় দু’বছর পর গুজরাটের আমেদাবাদেও একই ঘটনা ঘটল। একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলো একই পরিবারের ছ’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতদের মধ্যে চারজন নাবালক-নাবালিকাও রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমেদাবাদের ভাতভা জিআইডিসি এলাকার একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ছ’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম অমরীশ প্যাটেল, গৌরাঙ্গ প্যাটেল, ১২ বছরের মূয়র ও ধ্রুব এবং কীর্তি (৯) ও সানভী (৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার অমরীশ ও গৌরাঙ্গ চার ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরই ফিরে আসবেন বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত স্বামী ও সন্তানদের কোনো খোঁজ না পেয়ে, ভাতভা জিআইডিসি এলাকায় থাকা পরিবারের অন্য একটি ফ্ল্যাটে আসেন তাদের স্ত্রীরা। সেখানে আসার পর দেখেন ফ্ল্যাটটি ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। অনেক ধাক্কাধাক্কি দেওয়ার পরও কেউ দরজা খোলেনি।
বাধ্য হয়ে স্থানীয় ভাতভা জিটিডিসি থানায় যান দুই নারী। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ৬ জনের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। দুই ব্যক্তির দেহ বসার ঘরে, বাচ্চা ছেলে দুটির দেহ শোয়ার ঘরে ও মেয়ে দুটির রান্না ঘরে ঝুলছিল। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে অমরীশ ও গৌরাঙ্গ সন্তানদের বিষ খাইয়ে মারার পরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।
পরে নিজেরা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। এর পেছনে কুংসস্কার নাকি খুন করা হয়েছে ছ’জনকে, তাই নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ।