২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বন্যার্তদের নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে দেশের সকল মানুষের উচিত দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্যার্তদের নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি শুরু করেছে। দুর্গত মানুষকে নিয়ে পরিহাস করছে।”
রবিবার (১৯ জুন) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আশা করবো, সরকারের প্রতি কোনও রকম বিষোদ্গার বা দোষারোপ না করে, এই দুর্যোগের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে। বিএনপিকে বলবো অন্তত এই দুর্যোগকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ থেকে বিরত থাকুন। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এমন ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার পরিত্যাগ করুন।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সিলেটের বন্যা কোনও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নয়, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যে কোনও সরকারের চেয়ে সফলতা অর্জন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা বিশ্বসভায় প্রশংসিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে যখন বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ঠিক এ সময়েই মির্জা ফখরুলের হীনরাজনৈতিক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপির আচরণ খুব অমানবিক। অতীতে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও ধরনের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ জনগণ দেখেনি। শুধু বিএনপি নেতারা লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করেন।”
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, “সিলেট অঞ্চলের সৃষ্ট বন্যার কারণে মানুষের জানমাল রক্ষায় শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি দ্রুত নামিয়ে যাতে মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। কোনও রাস্তার কারণে পানি নামতে বাধা পেলে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সেই রাস্তা কেটে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। বন্যার পানি নেমে গেলে এই তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে।”