পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশের বেশিরভাগ জেলায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও জলাবদ্ধ বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। পানি কমতে থাকায় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। উত্তরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি কমেলও ভোগান্তি কমছে না শিগগিরই। আগামী তিন চার দিনের মধ্যে আরেক দফায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গাইবান্ধায় চার উপজেলার ২৬ ইউনিয়নের ৭৮টি গ্রাম এখনও পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪ হাজার ঘরবাড়ি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সুন্দরগঞ্জ, কামারজান, সাঘাটা, ফুলঝরি। কুড়িগ্রামে ধরলার পানি কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। ভাঙনের ঝুঁকিতে জেলার সারডোব, মোঘলবাসা, রাজারহাটের জয়কুমর, কালিরহাট এলাকা। ক্ষতি হয়েছে ১৬ হাজার ঘরবাড়ির। গত কয়েকদিনে পানিতে ডুবে মারা গেছে শিশুসহ ৫ জন।
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় সদর উপজেলা, ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জের অন্তত ৩০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে জেলার ৫০টি ইউনিয়নের সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ। লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে প্রবল স্রোতে কাজিপুরে ভেঙে গেছে বেলি ব্রীজ, শিমলা স্পার বাঁধে দেখা দিয়েছে ধ্স।
এদিকে, মধ্যাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। দুর্গত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এখনো প্রশাসন থেকে কোনো সহায়তা পায়নি দুর্গতরা।
/এএ