বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার সময়োযোগি সিদ্ধান্ত
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাসে যখন অতিরিক্ত যাত্রী উঠছে, গায়ের উপর দাঁড়িয়ে ঝুলে চলছে মানুষ। আবার মানুষ গুনছে বর্ধিত ভাড়া। প্রতিদিনই ঝগড়া লেগেই রয়েছে বাসে। বাসের মালিক, চালক ও হেলপারের যেনো আর হয় না। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের ঘোষণায় আদৌ তারা আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বাস স্টেশনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করাও উচিত বলে দাবি করেছে অনেকে। গত ঈদেও বধিত ভাড়া নয় কেবল তারচেয়েও অনেক বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। যখনই কোনো ঝড় আসে, ধাক্কা আসে তা জনগণের বুকের উপর দিয়েই যায়। ঈদের, পুজোর চাপ, ছুটির চাপ বা যেকোনো আয়োজনে জনগণই নিষ্পেষিত হয় সবার আগে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়নসহ বেশকিছু শর্তে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার। এই ভাড়া আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। বুধবার বিকেলে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধির বেশ ভালো প্রয়োগেই চলছিল গণপরিবহন। তবে ঈদযাত্রায় ও ঈদ-পরবর্তী থেকে স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারছে না গণপরিবহন। অনিয়ম করে যাত্রীবেশি নেয়া হচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে বর্ধিত ভাড়াও।
এদিকে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন এই নোটিশ পাঠান।
এদিকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বর্ধিত ভাড়া কমানোর দাবি করে আসছেন ঈদের আগে থেকেই। রাজধানীতে এক মানববন্ধনে ইসলামী যুব আন্দোলনের এক নেতা বলেন, করোনার মধ্যে যখন মানুষের পেটে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই, তখন খোড়া অজুহাতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করা হয়েছে। এখনো চলছে। করোনার আপডেট দেয়াও সরকার বন্ধ করেছে। তাহলে ভাড়া কেন বর্ধিতই থাকবে।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র যেভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা সহজেই কমবে না। এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি। আমরা মনে করি, জনগণের সরকার মানুষের জন্যই বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারে ভূমিকা রাখবে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা যাতে না হয় সে বিষয়েও কড়াকড়ি করা উচিত।