১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুব সমাজ ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফাইজারের আরো ৬২ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫১ মিলিয়নেরও বেশি টিকা দিচ্ছে। এ ছাড়াও আরো লক্ষাধিক ডোজ টিকা আসতে পারে। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা’ফেইভ বলেছেন, ‘সম্প্রতি ১০ কোটি মানুষকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা প্রদানের মাইলফলক অতিক্রম করায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জীবনরক্ষাকারী টিকা অনুদান অব্যাহত রাখবে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে পুরো ডোজ টিকা সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। ’
টিকা অনুদানের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে কভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সাত হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে যথাযথ টিকাদান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ শীতলীকৃত মজুদ ও পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা এবং শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে কভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কভিড-১৯’র টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯’র টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতাদেশে পরিণত হয়েছে বলে দেশটির দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।