৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

বাংলাদেশের দিকে আসছে ‘মোখা’, সংকেত বেড়ে ৪

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখার” প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেখানেই সংকেত পাল্টানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনকে বলেছেন, “সংকেত পাল্টানোর অর্থ হলো অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। তাই সংকেত পাল্টানো হলো।”

১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের ৯৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট নম্বর-“২” জারি করেছে। এ বিষয়ে হারবার মাস্টার কমান্ডার শাহিন মজিদ জানান, তারা এখনই জরুরি বৈঠকে বসবেন। তবে বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ এখনই বন্ধ হচ্ছে না। সতর্ক সংকেত আরও বাড়ানো হলে তখন বন্ধ করা হবে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com