বাখমুতে চব্বিশ ঘণ্টায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের ৪৩১ সেনা নিহত

বাখমুতে চব্বিশ ঘণ্টায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের ৪৩১ সেনা নিহত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গত চব্বিশ ঘণ্টায় বাখমুত শহরে একে অপরের দুই শতাধিক সেনাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

শনিবার (১২ মার্চ) কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়ার নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণ তারা প্রতিরোধ করছে। এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি জানিয়েছেন, বাখমুতে মস্কোপন্থী ২২১ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন শতাধিক।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডনেস্ক অঞ্চলের পূর্বাংশের এই শহরে রণাঙ্গনে ২১০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।

বাখমুতে সেনা নিহত ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করছে উভয়পক্ষ। তবে স্বতন্ত্রভাবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন।

ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা বাখমুতের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর আগে বুধবার এমন দাবি করেছিলেন গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

নিয়মিত গোয়েন্দা বুলেটিনে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বাখমুতকা নদীর কাছে শহরের প্রাণকেন্দ্র এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা বাখমুত ছেড়ে যাচ্ছে না এবং রুশবাহিনীকে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। বাখমুতের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের পর শহরটি সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।

মস্কো বলছে, বাখমুত দখল ফলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষায় ফাঁক তৈরি করবে এবং ডনবার শিল্পাঞ্চল দখলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ। কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়া নিজেদের সেরা সামরিক ইউনিটগুলোকে বাখমুতে মোতায়েন করছে।

প্রিগোজিন দাবি করেছেন, বাখমুতের প্রশাসনিক ভবন থেকে মাত্র ১.২ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন তিনি। এই ভবনটি বাখমুতকা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।

ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রণাঙ্গন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ওয়াগনার বাহিনীতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।

তবে পরিস্থিতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিটেন বলছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ও পশ্চিমে তাদের সরবরাহ লাইন এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *