পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নানান কল্পনা-জল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিওনেল মেসি। সমর্থকদের উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে মেসি নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ফলে অন্তত আরো এক মৌসুম বার্সার সঙ্গে থাকছেন ‘এলএম টেন’।
গত দশদিন ধরে মেসির ক্লাব ছাড়া না ছাড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক। বেশিরভাগ রিপোর্টই ছিল মেসির বার্সা ছাড়ার পক্ষে। এমনকি ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে কেউ কেউ মেসির চুক্তির গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ফুটবলের দলবদলে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সেই কথা যেন আরেকবার প্রমাণ করলেন বার্সার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
এদিন বিকেল থেকেই চাউর হয়েছিল মেসি বার্সায় থাকা না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন আজ। মোটামুটি সবাই নিশ্চিত ছিলেন যে, ক্লাব ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথাই হয়তো জানাতে যাচ্ছেন তিনি। সমর্থকদের জন্যও অবশ্য শেষ ভরসা ছিল এই সময়টা। গত কয়েকদিন যাবৎ যারা ক্লাবের আশেপাশে জড়ো হয়েছিল মেসিকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করে। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রেখেছেন তিনি। মেসির হয়ে বিবৃতিটি পাঠ করেছেন তার বাবা হোর্হে। পাশাপাশি গোল ডটকমকে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন মেসি।
সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, আমি আমার লাইফে কখনো ক্লাবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাইনি, সে কারণে আমি বার্সেলোনায় থাকছি। এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি সবসময় বলেছি আমি আমার ক্যারিয়ার এখানে শেষ করতে চাই।
মেসির `ক্লজ’ নিয়ে হওয়া বিতর্কের জবাব এসেছে বিবৃতিতে। যেখানে লা লিগা সভাপতির করা পর্যালোচনা ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য পাল্টা বিবৃতিতে নিজেদের যুক্তির সপক্ষে বক্তব্য প্রকাশ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষও।
তবে মেসির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেই সহজ ছিল না। তিনি বলেন, আমি যখন আমার সিদ্ধান্তের কথা আমার স্ত্রী ও সন্তানদের জানিয়েছি, সেটা খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা ছিল। পুরো পরিবার কাঁদতে শুরু করে। আমার বাচ্চারা বার্সা ছেড়ে যেতে রাজি ছিল না। এমনকি তারা স্কুলও বদলাতে রাজি ছিল না।
পাশাপাশি বার্সাকে কোর্টে নিতেও রাজি ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। মেসি বলেন, আমি বার্সার বিরুদ্ধে কোর্টে যেতে কখনোই চাইনি। কারণ এটা সেই ক্লাব যাকে আমি ভালোবাসি। আমি আসার পর থেকে যে ক্লাব আমাকে সবকিছু দিয়েছে। এই ক্লাব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িত, এখানে আমি আমার জীবন গড়েছি। বার্সা আমাকে সবকিছু দিয়েছে, আমি ক্লাবকে সবকিছু দিয়েছি। ক্লাবকে কোর্টে নেয়ার চিন্তা আমার মাথায় একবারও আসেনি।
/এএ