পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলের ১৯ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একইভাবে, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের ৪১ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বয়কটের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শুক্রবার দলের ১৯ নেতাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলের ৪১ নেতাকে শোকজ করা হয়। এদের মধ্যে একজন মেয়র পদে, ৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ও ৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নোটিশপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রিমন, বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, নজরুল ইসলাম মুনিম, এবিএম জিল্লুর রহমান ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মহিলা দলের মহানগর শাখার সভাপতি রোকসানা বেগম শাহনাজ। জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হুসাইন সুমনকেও শোকজ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড, নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন ও ৫০ লাখ কর্মীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। দলের পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বিএনপির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, ৪১ জনের সবাইকে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।