বিকল্প লেনদেন পদ্ধতির দোরগোড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক

বিকল্প লেনদেন পদ্ধতির দোরগোড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইউক্রেনে অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রুশদের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিকল্প লেনদেনের পদ্ধতি তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, অল্প সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত রূপরেখা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হবে।

নিয়ন্ত্রক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (এমওসি) ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফডিআই) বিষয়টি অবহিত করবে।

পদ্ধতি চূড়ান্ত হলে সেভাবে লেনদেনের জন্য ইআরডি রাশিয়ান ফেডারেশনের সাথে একটি প্রস্তাবের সাথে যোগাযোগ করবে।

একটি সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় লেনদেনে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে ঢাকা।

গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় বাংলাদেশ মিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। এতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পণ্য রপ্তানির জন্য বিকল্প অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এসব নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি এতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনামূল্যে ও নিরাপদ অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে জাতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার প্রস্তাব ছিল।

বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিক বৈঠকে বসে।

তবে কোনো স্বীকৃত ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার বিষয়ে চুক্তির না হওয়ায় বিষয়গুলো এখনও অমীমাংসিত রয়েছে।

বর্তমানে রাশিয়ান নীতিনির্ধারকরা তাদের জাতীয় মুদ্রা রুবেলে বাণিজ্য করতে সক্ষম রয়েছেন বলেও জানান।

তারা বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য বিনিময় প্রক্রিয়ার দিকেও মনোযোগ দেয়।

রাশিয়া ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কিছু আন্তর্জাতিক লেনদেন করছে।

এছাড়াও, রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাগুলো ডলার ও ইউরোর উপর নির্ভর করা বন্ধ করার বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে। রাশিয়া এখন ক্রমশ চীনা ইউয়ানের সঙ্গে লেনদেনের দিকে ঝুঁকছে।

দূতাবাস বলছে, রুবেল, ইউয়ান বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থপ্রদান সবই এখন পরীক্ষামূলক। ফলে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।

দূতাবাস অদূর ভবিষ্যতে তিনটি অর্থপ্রদানের পদ্ধতি থেকে যেকোনো একটি বা দুটি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কিছু রাশিয়ান ব্যাংক এখনও সুইফট সিস্টেমের সাথে কাজ করছে।

অনেক ক্ষেত্রে, পেমেন্টগুলি নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় নেয়।

যদিও রাশিয়ার এফএসপিএস ও এমআইআর নামে নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে, তবে এগুলি মূলত দেশীয় ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ডের জন্য কার্যকর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *