বিক্ষোভের সময় বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

বিক্ষোভের সময় বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

বিক্ষোভের সময় বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিক্ষোভ ভয় পান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনিযুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ-সহিংসতা চলার সময় ভয়ে এক বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন। প্রথমদিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

এদিকে, এই বিক্ষোভ সহিংসতার মধ্যেই খবর সামনে এলো যে, শুক্রবার বিক্ষোভের সময় নাকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ভেতরের বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন।

শুক্রবার রাতে যখন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিল সে সময়ই নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাম্পকে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বাঙ্কারে তাকে বেশিক্ষণ রাখা হয়নি। সেখানে তিনি ঘণ্টাখানেকের জন্য ছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ছেলে ব্যারনকেও বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাঙ্কারে নেওয়ার ঘটনা প্রথম প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

এদিকে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে, ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার হোয়াইট হাউসের আশেপাশে বিক্ষোভ সামলানোর জন্য নগর পুলিশকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি দেননি। তবে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, ওয়াশিংটন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকদিনের বিক্ষোভের সূত্রপাত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেই। তার এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মার্কিনিরা। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ-নির্বিশেষে সব শ্রেণিগোষ্ঠীর মানুষ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে লকডাউন, কারফিউকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ব্যাপক-জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছেন।

মিনিয়াপোলিস শহরে পাঁচদিন আগে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুর নিচে চেপে রেখে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ সদস্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য ডেরেক চওভেন দুই পকেটে হাত ঢুুকিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। আর তার হাঁটুর নিচে চাপা পড়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড বাঁচার তীব্র আঁকুতি করছেন। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটুচাপা দিয়ে রাখা হাতকড়া পড়ানো জজং ফ্লয়েডকে এসময় বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি নিশ্বাস নিতে পারছেন না।

শেষের দিকে তিনি পানির জন্য আকুতি জানান। এ সময় বেশ কয়েকজন পথচারী পুলিশের এমম নির্মম আচরণের নিন্দা জানিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। হাঁটুচাপায় ফ্লয়েড যখন আর কোনও সাড়া শব্দ করছিলেন না তখন পথচারীরা কান্না করে বলতে থাকেন, সম্ভবত সে মারা গেছে। দয়া করে তাকে পরীক্ষা করুন। এই ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়ার পরেই জর্জের মৃত্যু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৩১টি অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫টির বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *