১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিজিবি’র সৈনিকদেরকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুললিত কণ্ঠে আজান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিজিবি-তে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান শুক্রবার বাদ জুম্মা পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার, সনদপত্র ও ট্রফি বিতরণ করেন। এ সময় বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও অসামরিক সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আযান প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে কুষ্টিয়া সেক্টর সদর দপ্তরের ল্যান্স নায়েক সিটি মো. মোকতার হোসেন প্রথম স্থান, গুইমারা সেক্টর সদর দপ্তরের মেডিকেল সহকারী সিপাহী তানজিমুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থান এবং ঠাকুরগাঁও সেক্টর সদর দপ্তরের সিপাহী মো. রাকিবুল ইসলাম ৩য় স্থান অধিকার করেন।
কেরাত প্রতিযোগিতায় গুইমারা সেক্টর সদর দপ্তরের ল্যান্স নায়েক মো. বেলাল আহমেদ প্রথম স্থান, ঢাকা সদর দপ্তর ব্যাটালিয়নের মুয়াজ্জিন মো. আল আমিন দ্বিতীয় স্থান এবং সিলেট সেক্টর সদর দপ্তরের সিপাহী মো. আজিজুর রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। আজান ও কেরাত উভয় বিষয়ে দলীয়ভাবে মোট পয়েন্ট প্রাপ্তির ভিত্তিতে গুইমারা সেক্টর চ্যাম্পিয়ন এবং কুষ্টিয়া সেক্টর রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
পুরস্কার বিতরণ শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তিনি বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ব্যক্তিগত জীবনে শুদ্ধ উচ্চারণে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ধর্ম চর্চার আহ্বান জানান। ধর্মীয় অনুশাসন মানে-ধর্মীয় গোড়ামি নয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে সবাইকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলারও আহ্বান জানান বিজিবি মহাপরিচালক।