বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ’ নীতিতে শাহবাজ শরিফ

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ’ নীতিতে শাহবাজ শরিফ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে ‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ (রাতে আগে আগে ঘুমান আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা)’ নীতি গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ডনের
নতুন এই নীতির অংশ হিসেবে দোকানপাট রাত সাড়ে আটটার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিয়ের অনুষ্ঠান ১০টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার বাড়ানো হবে। সরকারি দপ্তরগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার ৪০ শতাংশ কমানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় সম্পদের ন্যায়সংগত ব্যবহার নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় জ্বালানি সাশ্রয় পরিকল্পনার অধীন এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন তিনি।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর একটি সমন্বিত জাতীয় জরুরি পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার। শত শত কোটি রুপি সাশ্রয় করতে এই পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক এই সাশ্রয় পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি সারা দেশে একযোগে কার্যকর হবে।’

তিনি বলেন, ‘হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট রাত সাড়ে আটটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান রাত ১০টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি সাশ্রয় হবে।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়—এমন বৈদ্যুতিক পাখার ওপর অতিরিক্ত করারোপ করা হবে। এ ধরনের পাখার উৎপাদন ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে অনেক ধরনের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পাখা রয়েছে। এতে বছরে ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া এলইডি বাল্ব ব্যবহার করলে বছরে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।

পাকিস্তানের জ্বালানি খাত ঋণের জালে জর্জরিত। সেই সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটও দিন দিন বাড়ছে। এই সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি খরচ কমাতে নতুন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।

গত আট বছরের মধ্যে পাকিস্তানের রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই রিজার্ভ দিয়ে এক মাসের মতো পণ্য আমদানি করা যেতে পারে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে যে ঋণ আসার কথা ছিল, তা-ও দেরি হচ্ছে। এতে বাধ্য হয়ে সরকার এই পথে হাঁটছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *