বিদ্যুৎ; ৬২ হাজার ৯৬ গ্রাহকের বিলে অসংগতি

বিদ্যুৎ; ৬২ হাজার ৯৬ গ্রাহকের বিলে অসংগতি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাঝে দেয়া ৬২ হাজার ৯৬ গ্রাহকের বিলে অসংগতি পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের টাস্কফোর্স।

রোববার (০৫ জুলাই) সচিবালয়ে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৯৬ গ্রাহকের বিলে অসংগতি পেয়েছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে আরইবির ২ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১১ জনের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহকের মধ্যে ১৫ হাজার ২৬৬ জন, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৫ হাজার ৬৫৭ জন, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২ হাজার ৫২৪ জন, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৫৫৬ জন, পিডিবির ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৫৮২ জনকে অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ড. সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা সব সময়ই গ্রাহকবান্ধব। আমরা যে আস্থা হারিয়েছি, আশা করছি, তা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে পারব।

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদানে যারা যুক্ত ছিলেন, দ্রুত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। এছাড়া গ্রাহকদের অভিযোগ দ্রুতই সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিতরণ কোম্পানির ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পিডিবি ও আরইবির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, দেশের অন্যান্য অনেক পেশাজীবীর মতো দেশের বিদ্যুৎ কর্মীরাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এ পর্যন্ত বিতরণ কোম্পানিগুলোর মোট ৬০১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১২ জন।

প্রসঙ্গত, গত মার্চের শুরুর দিকে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকরা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের বিল দেরিতে দিতে পারবেন। জুনে বিল পরিশোধ করতে হবে এবং বিলম্বিত বিল পরিশোধে কোনো অতিরিক্ত জরিমানা নেয়া হবে না। কিন্তু পরে বিদ্যুৎ বিল দেয়া হলে গ্রাহকরা কয়েক গুণ অতিরিক্ত বিল করার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়।

/এএ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *