পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে পাওনা ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) মন্তব্য জানাতে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল।
তবে সারচার্জের টাকা মাফ করতে রাজি না বেবিচক। বরং বিমানের কাছ থেকে সারচার্জসহ আগের সব পাওনা টাকা আদায়ে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।
সম্প্রতি এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ২০২২ সালের ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বেবিচকের পাওনা রয়েছে ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এই টাকা জরুরিভিত্তিতে আদায়ে বেবিচক এবছরের ২৪ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি চিঠি দিয়েছিল।
চিঠিরে বলা হয়, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বৈদেশিক ঋণ অর্থায়ন ও সরকারি ঋণ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল (ডেবট সার্ভিস লায়াবিলিটি) পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে কর বহির্ভূত রাজস্ব ও আয়কর পরিশোধের জন্য নিরবচ্ছিন্ন নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা রাজস্বের মূলবিলের অর্থসহ ‘বিলম্বে বিল পরিশোধজনিত অতিরিক্ত চার্জ (সারচার্জ)’ বাবদ পাওনা রাজস্ব মওকুফ করা সমীচীন হবে না।
চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বেবিচক পাওনা ৮০৮০.৮৭ কোটি টাকা আদায়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পুনরায় সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করা হলো।’
বেবিচকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের কাছে সারচার্জ মওকুফ চেয়ে চিঠি দেন বিমানের এমডি মো. যাহিদ হোসেন।মন্ত্রণালয় সেই চিঠিতে সায় দিয়ে বেবিচককে সারচার্জ মওকুফের নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানায়।
উল্লেখ্য, একইভাবে আবেদন করে ২০০৭ সালে বেবিচকের আরোপিত ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করিয়ে নিয়েছিল বিমান।