বিশ্বের যেসব দেশে ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম

বিশ্বের যেসব দেশে ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অপরিহার্য উপাদান ইন্টারনেট। দ্রুতগতির ইন্টারনেট কাজকে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যের করে, তেমনি ধীরগতির ইন্টারনেট নিয়ে বিড়ম্বনারও শেষ নেই। ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বের দ্রুততম ও ধীরগতির ইন্টারনেট সম্পন্ন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে আসছে ইন্টারনেটের গতি তুলনাকারী সাইট “ক্যাবল”।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ দশমিক ১ বিলিয়নেরও বেশি স্পিড টেস্টের ভিত্তিতে বিশ্বের দ্রুততম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ দেশগুলোর তালিকা তৈরি করে সাইটটি।

“ক্যাবল” এর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি ৩২ দশমিক ১৩ এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড)।

সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, আইসল্যান্ডে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট । এরপরেই রয়েছে লিচেনস্টাইন, অ্যান্ডোরা, তাইওয়ান ও লুক্সেমবার্গ। এ তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অষ্টম এবং যুক্তরাজ্য ২৭তম স্থানে রয়েছে।

আইসল্যান্ডে ব্রডব্যান্ডের গতি ২১৬.৫৬ এমবিপিএস। একটি ৫ জিবির ফাইল ডাউনলোড করতে দেশটিতে মাত্র তিন মিনিট সময় লাগবে।

অন্যদিকে, তুর্কমেনিস্তানে বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির ইন্টারনেট রয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আউটডোর ট্রাভেল ব্লগ “অ্যাটলাস অ্যান্ড বুট” এর তথ্য অনুসারে দ্রুততম ইন্টারনেট গতিসম্পন্ন ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে- আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, এন্ডোরা, তাইওয়ান, লুক্সেমবার্গ, জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও স্পেন।

সবচেয়ে ধীরগতির ইন্টারনেট গতিসম্পন্ন ১০টি দেশ

তুর্কমেনিস্তানের গড় গতি মাত্র ০.৭৭ এমবিপিএস। একটি ৫ জিবি ফাইল ডাউনলোড করতে দেশটিতে ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।

ইন্টারনেট ধীরগতির ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে- তুর্কমেনিস্তান, তিমুর-লেস্তে, ইয়েমেন, গিনি, বিসাউ, আফগানিস্তান, নিরক্ষীয় গিনি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, তাজিকিস্তান।

ইন্টারনেটের দ্রুত গতিসম্পন্ন ৫০টি দেশের মধ্যে ৩১টি ইউরোপে, সাতটি এশিয়ায়, পাঁচটি উত্তর আমেরিকায়, তিনটি দক্ষিণ আমেরিকায়, দুটি ওশেনিয়ায়, একটি আফ্রিকায় এবং একটি মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে, ৫০টি সবচেয়ে ধীরগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটের দেশের মধ্যে ৩০টি আফ্রিকায় অবস্থিত।

আফ্রিকার ৬৭টি দেশ বা অঞ্চলের গড় গতি ১০এমবিপিএস’র নিচে। যা একটি সাধারণ পরিবার বা ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মেটানোর জন্যও অক্ষম বলে বলে মনে করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিকম ওয়াচডগ প্রতিষ্ঠান “অফকম”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *