আসন্ন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেল চলাচলের সময় সমন্বয় করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে বইমেলা আর ফেব্রুয়ারির ২য় দিন থেকে ইজতেমা শুরু হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে এমআরটি লাইন-৬ এর প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।
কাদের বলেন, “বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেলের সময়সীমাটা বাড়ানোর তাগিদ আছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কোন দিন কতটা পর্যন্ত চলবে; এই বিষয়টা আমাদের দেশে নতুন। এখানে যারা কাজ করেন তাদের কাজের সময়সীমা আছে।”
তিনি আরও বলেন, “এছাড়া মেট্রোরেলের চলার যে পদ্ধতি, খুবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রযুক্তিটা সাজানো হয়েছে। কাজেই এর ব্যত্যয় হলে সমস্যা হতে পারে। ইজতেমা এবার দুই ভাগে নাকি এক ভাগে হবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টা ঠিক হলে আমরা এ ব্যাপারে সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
কাদের বলেন, “আরেকটা বিষয় আছে বইমেলা। সময় বৃদ্ধির ব্যাপারটা এক-দেড় ঘণ্টা বিশেষ বিশেষ দিনে প্রসারিত করার অনুরোধ আছে। সেটা বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “আজ থেকে মেট্রোরেল শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে। মতিঝিল থেকে সর্বশেষ মেট্রো ট্রেন রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। পিক আওয়ারের হেডওয়ে হবে ১০ মিনিট ও অফপিক আওয়ারের হেডওয়ে হবে ১২ মিনিট।”
কাদের বলেন, “২০৩০ পর্যন্ত ছয়টি মেট্রো লাইন আমরা উপহার দেবো বাংলাদেশের জনগণকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটাই অঙ্গীকার।”
মেট্রোরেল উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি। এ জন্য সমীক্ষা চলছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এ মাসে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এরপরে সেতুমন্ত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন।