বুটেক্স ভিসি : নিটার শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তার অবকাশ নেই

বুটেক্স ভিসি : নিটার শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তার অবকাশ নেই

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চের (নিটার) শিক্ষার্থীদের বাস্তব কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) নিটারের কেন্দ্রীয় মাঠে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আলিমুজ্জামান বলেন, “নিটারে আজকে যারা প্রথম বর্ষে পা রেখেছে, যারা ইঞ্জিনিয়ার হতে এসেছে তারা আসলেই ভাগ্যবান। পরবর্তীতে বাস্তব কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার কোনো অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না। দেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু ওরিয়েন্টেশনে এসে মালিকপক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয় এমন আর কোনো প্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার জানা নেই।”

নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন একাডেমিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার পাশাপাশি ইন্টারনেট ও টেকনোলজির সহযোগিতা নেওয়ারও আহ্বান জানান বুটেক্স ভিসি।

নিটারের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিটিএমএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিটিএমএ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুল হক, বিটিএমসির পরিচালক হাওলাদার মো. রকিবুল বারী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর হোসেন, বিটিএমএ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. সালেউদ্দ জামান খান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিটারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জোনায়েবুর রশীদ।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, “আমি নিটারের গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেয়ার পর টেক্সটাইল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি সিএসই ও ইইই বিভাগ চালু করা হয়েছে। কারণ একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে বৈচিত্র্যময় প্রকৌশল শিল্প সম্পর্কে জানতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও অটোমেশন মেশিনারিজ সম্পর্কে তার জানা থাকতে হবে। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার যাতে ঠিকভাবে কস্টিং প্লানিং,
প্রোডাকশন ক্যালকুলেশন করে ইন্ডাস্ট্রিকে নেতৃত্ব দিতে পারে সেই জন্য এমবিএ কোর্সও নিটারে চালু করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিটারে আজ যারা ভর্তি হয়েছ আগামীদিনে তারা টেক্সটাইল শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিটারে যারা ভর্তি হয়েছে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তে কোনো ভুল নেই। নিটারের নয়টি ব্যাচের গ্রাজুয়েটদের মধ্যে একজনও বেকার নেই। যদি একটি ছেলেও বেকার থাকে তাহলে তার সিভি যেন বিটিএমএ অফিসে পাঠিয়ে দেয়। আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *