বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

আদিব সৈয়দ ● বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। প্রতিবছরের মতো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ক্রান্তিকালে সমালোচকের দৃষ্টি : শান্তিপূর্ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা (ক্রিটিক্যাল মাইন্ডস ফর ক্রিটিক্যাল টাইমস : মিডিয়া’স রোল ইন এডভান্সিং পিসফুল, জাস্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোসাইটিস্)। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চ্যেধুরী এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ সকাল ১০টায় ডিআরইউ ভবনের ৫ম তলায় আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় প্রেরিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নকে টেকসই, গতিশীল ও অংশগ্রহণমূলক করতে অবাধ তথ্য প্রবাহের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার অনুসৃত এ অন্যতম মূলমন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্য মন্ত্রণালয়। উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় সে কাজেরই অংশ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি সংস্থার সহায়তায় দেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহের ফলে জনগণ একদিকে উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আরো সচেতন হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সম্পর্কে সরকারও অবহিত হচ্ছে। এ দু’য়ের কার্যকর সমন্বয়ে এগিয়ে চলেছে দৃপ্ত বাংলাদেশ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকাকে বর্তমান সরকার সবসময় বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে এসেছে উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, তারই অংশ হিসেবে সরকারের ধারাবাহিক দুই মেয়াদের বিগত ৮ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবসম্মত কার্যক্রম দেশের উন্নয়নে গণমাধ্যমের অপরিহার্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ টেকসই উন্নয়নে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ যে আবশ্যকÑ তথ্য মন্ত্রণালয়ের তৎপরতায় এটি আজ দৃঢ়প্রতিষ্ঠ। এতে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমের উন্নয়নে এ সময়ে নতুন ১৬৪৭টি পত্রিকা নিবন্ধিত হয়েছে। বেসরকারি খাতে নতুন ৩৬টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদনসহ ২৪টি এফ. এম. বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক ও ষান্মাষিক মিলে মোট পত্রিকার সংখ্যা ২৮৫৫টি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র নিয়ে সরকারি ৪টি ও অনুমোদনপ্রাপ্ত ৪৪টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে ২৬টি সম্প্রচাররত। পাশাপাশি সম্প্রচারিত হচ্ছে ২১টি এফ. এম. বেতার ও ১৭টি কমিউনিটি রেডিও।

সংবাদপত্রকে ঘোষণা করা হয়েছে শিল্প হিসেবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরো গতিশীল করা, আইনের আওতায় আনা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ৮ বছরে ১৫টি আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর আওতায় গঠিত তথ্য কমিশন ইতোমধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও বলা হয়, ৬৪টি জেলায় জনঅবহিতিকরণ সভার মাধ্যমে এ আইন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন ২০১৩ এর আওতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৪ এর আওতায় স্থাপিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট দেশের গণমাধ্যমের উৎকর্ষ ও কল্যাণে শুধু নজীরবিহীন দৃষ্টান্তই তৈরি করেনি, আগামী দিনগুলোতে গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধ করতে দিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিকতার স্থায়ীরূপ।

গণমাধ্যম ও গণসংযোগ খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সংস্কারে ২২টি নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, এসব প্রকল্পের মধ্যে ৫টি বিভাগীয় শহরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনসহ দেশব্যাপী বিটিভির ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন ও সেন্ট্রাল সিস্টেম অটোমেশন, বাংলাদেশ বেতারের দেশব্যাপী এফ.এম সম্প্রচার সম্প্রসারণ এবং প্রতিটি জেলায় তথ্য অফিসসমূহের আধুনিকায়নসহ জেলা তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ অন্যতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *